প্রত্যয় অর্থনীতি ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে এশিয়ার অর্থনৈতিক উৎপাদনে যে স্থবির নেমে এসেছে তা আগামী ২০২২ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আর এই সতর্ক বার্তা করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তিরই যখন এ অবস্থা, তখন করোনায় ধুঁকতে থাকা বিশ্ব অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের দীর্ঘসূত্রতার আশঙ্কা বাড়ছে। আইএমএফের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ৬৮ শতাংশ অবদান ছিল এশিয়ার।
কিন্তু বিশ্বজুড়ে করোনার কারণে এই অবদান অনেকাংশে কমে আসবে। ১৯৩০-এর দশকের মহামন্দার পর সবচেয়ে ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। আর এই অর্থনীতিকে টেনে তুলতে এশিয়াকে মূল ভূমিকা রাখতে হবে বলে মনে করছে আইএমএফ। এই সংস্থা আরও মনে করে, এশিয়ার অর্থনীতি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ সম্প্রসারিত হতে পারে।
ইতালির অর্থনৈতিক উত্তরণে আর কয়েক বছর: ইতালির অর্থনৈতিক কার্যক্রম করোনা-পূর্ব অবস্থায় ফিরে আসতে আরও কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। অর্থাৎ আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময় নিতে পারে। স্থানীয় একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান তাদের এক প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করেছে, জরুরি অবস্থা শেষে ইতালি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে। এ মুহূর্তে দেশটি করোনাভাইরাসের সঙ্গে সহাঅবস্থানের পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।
তবে আগামী প্রান্তিকে মন্দা দেখা যেতে পারে। একই সঙ্গে চলতি বছর সার্বিকভাবে দেশটির জিডিপিতে ১০ দশমিক ১ শতাংশ সঙ্কোচন হতে পারে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যের অবস্থা এখনও উদ্বেগজনক। শুধু তাই নয়, অস্থিতিশীল। এরপরও যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ ও চীন তাদের অর্থনৈতিক চক্রের সর্বনিম্ন বিন্দু অতিক্রম করছে। তবে বৈশ্বিক উত্তরণের গতি কিছুটা মন্থর হবে। করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি মূল্য দিতে হবে সেবাখাতকে। আগামী বছর জিডিপিতে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরণ হতে পারে।